এর আগে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল গ্রামের ইসমাইলের মালিকানা এফবি ইমরান ট্রলারসহ ১২ জেলে সোমবার (২৬ আগস্ট) সমুদ্রে মাছ শিকার শেষে ফিরে আসার পথে পরদিন মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বলেশ্বর নদের মোহনায় হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যেই ইমরান ট্রলার থেকে ছিঁটকে সাগরে পড়ে যায়।
পরে ইমরান হোসেন লুঙ্গি ফুলিয়ে এবং ট্রলারে পানি উঠানোর বালতির সঙ্গে একটি ফ্লট ধরে ভাসতে থাকে। পরে শনিবার (৩১ আগস্ট) ভারতীয় জলসীমানায় ভাসতে দেখে সেদেশের ট্রলার ‘এফবি বাবা পঞ্চানন’ এর চালক মনোরঞ্জন দাস। ইমরানকে উদ্ধার করে ভারতীয় মৎস্যজীবীরা নিয়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার রায়দীঘি বন্দরে। সেখানে তাকে ভর্তি করানো হয় গ্রামীণ হাসপাতালে, চিকিৎসা শেষে ওই কিশোর মৎস্যজীবীকে ভারতের রায়দিঘি থানায় সোপর্দ করার পর ওই এলাকার ইরান আলী মাস্টার নামে একটি শিশু হোমে পাঠিয়ে দেন। এখন পর্যন্ত কিশোর জেলে ইমরান শিশু হোমেই রয়েছে।
ভারত থেকে ফিরে এসে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, কিশোর ইমরানের আকুতি আমাদের সবাইকেই কাঁদিয়েছে। ওর কান্না সেখানের কেউ সহ্য করতে পারছেনা। আমি কিশোর জেলে ইমরানকে আনতে ভারতে গিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তারা জানিয়েছেন, যেহেতু ওই কিশোর জেলের কোনো অপরাধ পাওয়া যায়নি, ভাসতে ভাসতে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন সে কারণে তাকে দ্রুতই বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
মোস্তফা চৌধুরী ভারতে বাংলাদেশি দূতাবাসের প্রথম সচিব শামিমা ইয়াসমিনের বরাত দিয়ে আরও বলেন, কিশোর ইমরানকে দ্রুত দেশে পাঠানোর জন্য দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। খুব দ্রুতই পাঠানো সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচ/