শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক খান রাজ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রেসব্রিফিং করে এ দাবি করেন।
আগুন লাগার প্রায় দু’ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
কারখানার চেয়ারম্যান বলেন, কারখানাটির ছয়তলায় এলইডি টিভি, ফ্রিজ ও মেশিনপত্রসহ সব তৈরি করা মালামাল পুড়ে গেছে। কারখানায় আগুন নেভানোর নিজস্ব ব্যবস্থাপনা রয়েছে। কিন্তু আগুন এতটা ব্যাপক ছিল যে কারখানার নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ব্যবহার করে তা নেভানো সম্ভব ছিল না। কারখানাটির বিল্ডিং কোড মেনে এবং ফায়ার সার্ভিসের সব নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে টিভি ফ্রিজ দেওয়ার জন্য ২০০৯ সালে এ কারখানাটি স্থাপন করা হয়। বর্তমানে দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ কারখানার পণ্য বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। এ কারখানায় প্রায় দুই হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সারাদেশে মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপে প্রায় ২০ হাজার কর্মসংস্থান রয়েছে। এ সময় তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন। যাতে পুনরায় কারখানাটি চালু করতে পারেন।
প্রেস ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন কারখানার পরিচালক অপারেশন গোলাম মোস্তফা খান, পরিচালক অর্থ মুজিবুর রহমান ও কারখানার জেনারেল ম্যানেজার মনিরুল হাসান স্বপনসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
কারখানার চেয়ারম্যান বলেন, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কারখানায় আগুন লাগে। এ সময় কারখানার নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। পরে প্রায় দু’ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।
জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, সকাল সোয়া ৭টার পর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়েছে। পরে প্রথমে জয়দেবপুর ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আশপাশের ফায়ার সার্ভিসের ১০টিসহ মোট ১৬টি ইউনিটের কর্মীরা প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি বলেন, প্রায় দু’ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। আরও আগে খবর দিলে এতেটা ক্ষতি হতো না। ফায়ার স্টেশন থেকে ঘটনাস্থল মাত্র সাত কিলোমিটার। ক্ষতি ও সূত্রপাত তদন্তপূর্বক বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
আরএস/এএটি