রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মানবপাচার প্রতিরোধ নিয়ে পরামর্শ কর্মশালার আয়োজন করে আইওএম। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কনস্যুলার ব্রেন্ট ক্রিসেন্সেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো।
কর্মশালার ধারণাপত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি রোহিঙ্গারা পাচার হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের ঢর নেমেছে। রোহিঙ্গাদের চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও ইতোমধ্যেই কক্সবাজার এলাকা থেকে ৪২০ জন রোহিঙ্গা পাচার হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পালারমো প্রটোকলে সইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দিয়ে মানবপাচার প্রতিরোধে আমরা আরো ভূমিকা রাখতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, অভিভাসন ও মানবপাচার দু’টো পুরোপুরি আলাদা বিষয়। আমরা মানবপাচারের বিরুদ্ধে, তবে নিরাপদ অভিবাসনের পক্ষে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পালারমো প্রটোকলে সইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায়, আমরা স্বাগত জানাই। এ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে জাতিসংঘ সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আইওএম'র আঞ্চলিক অভিবাসন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জোনাথন মার্টেন্স, আইওএম'র বাংলাদেশ মিশন প্রধান জর্জ গিগৌরি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
টিআর/এসএইচ