এ ঘটনা কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেদল ইউনিয়নের সাহেদল গ্রামের আব্দুল নবীর বাড়ির।
আব্দুল নবীর চার ছেলে ও চার মেয়ে।
এমন অবস্থা দেখে এই বাড়ির এক মেয়ের জামাই এগিয়ে আসেন। তিনি বাড়ির লোকজনকে বলেও সমলা বিবির থাকা ও খাওয়ার বিষয়টি কোনো সুরাহা করতে না পেরে থানা পুলিশের সহযোগিতা নেন।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ বিষয়টির অভিযোগ পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোনাহর আলীর সঙ্গে কথা বলেন। এমন এক বৃদ্ধা মায়ের ঘটনার খবর জেনে গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোনাহর আলী থানার ওসি শেখ মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে ওই গ্রামের আব্দুল নবীর বাড়িতে ছুটে যান। খবর পেয়ে স্থানীয় সাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও ঘটনাস্থলে আসেন। পরে বাড়ির গোয়ালঘরে গিয়ে বৃদ্ধা সমলা বিবিকে বের করে আনা হয়। বাড়ির লোকজনের সব কথা শুনে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার বৃদ্ধ মা-বাবার ভরণপোষণ আইন করেছে। আইনে ভরণপোষণ করা বাধ্যতামূলক। ভরণপোষণ না করলে জেল-জরিমানা হবে। এনিয়ে বাড়ির লোকজন ক্ষমা চান এবং বৃদ্ধা সমলার নতুন ঘর নির্মাণসহ ভরণপোষণ করা হবে বলে অঙ্গীকার করেন।
বাড়ির গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুক তার দাদি সমলা বিবির খাবারের ব্যবস্থার দায়িত্ব নিয়েছেন। বৃদ্ধার ছেলেরা দু’দিনের মধ্যে মা সমলার জন্য নতুন ঘর নির্মাণ করে দেবেন। আর এসব কাজের তদারকি করবেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সোনাহর আলী বাংলানিউজকে জানান, এক অসহায় বৃদ্ধা মায়ের ভালো থাকার ব্যবস্থাসহ ভরণপোষণের কাজটি করে পুলিশ পাশে দাঁড়িয়েছে। ওই বৃদ্ধা মায়ের পাশে আগামীদিনেও পুলিশ সহযোগিতা করে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এএটি