রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (নেসকো) অফিস ঘেরাও করে তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকদের বিদ্যুৎ অফিসের মিটার রিডার ও দালাল শাহীন মিটার রিডিংয়ের অতিরিক্ত বিদ্যুতের ইউনিট তালিকা দিয়ে পঞ্চগড় অফিস কর্তৃক বিদ্যুৎ বিলের কাগজ এলাকায় বিতরণ করে।
বুড়াবুড়ি এলাকার দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবহারকৃত বিদ্যুৎ বিলের আনুমানিক ৩০ থেকে ৫০ ইউনিট ব্যবহার হলেও বিদ্যুৎ বিলের অতিরিক্ত দেড়শ’ থেকে ৩শ’ পর্যন্ত ইউনিট ব্যবহার অফিসকে দেখায় নেসকোর দালাল ও মিটার রিডার শাহীন। পরে ওই রিডার দেখে ভুয়া বিল পাঠায় পঞ্চগড় নেসকো কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিলের সমাধান চেয়ে অভিযোগ করা হলেও ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি আমরা। তাই কোনো রাস্তা না পেয়ে আমরা ভুক্তভোগীরা অফিস ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছি।
আব্দুস সামাদ, আলমগীর হোসেনসহ আরও কয়েকজন গ্রাহকের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিভ্রান্ত অবস্থায় পড়ে গেছি। সামান্যতম বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও ২০ থেকে ৫০ ইউনিট যেখানে হওয়ার কথা সেখানে মিটার না দেখে ভুয়া বিল করে ৩শ’ থেকে ৫শ’ ইউনিটের বিপরীতে ১৫শ’ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত বিল দেখানো হচ্ছে। এ বিষয়ে নেসকোর প্রকৌশলীর কাছে বার বার অভিযোগ দিলেও সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আসলেও তা সমাধান করছে না তারা।
এ বিষয়ে পঞ্চগড় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাসনাৎ জামানের সঙ্গে কথা হলে বাংলানিউজকে তিনি জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সমস্যা সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
আরএ