এই পরিস্থিতিতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ফিউচার অব হেলথ ইনস্যুরেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।
ড. মো. শাহাদাত হোসাইন মাহমুদের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
সংশিষ্ট বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ইকোনমিক্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
তিনি বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৯ ভাগ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যা জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) শুন্য দশমিক ৯ ভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগের ৬৭ ভাগই রোগীদের পকেট থেকে ব্যয় করতে হয়। এর ফলে বছরে ৩ দশমিক ৪ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যায়।
সেমিনারে জানানো হয়, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জন ও এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে)’ চালু করেছে। এসএসকে একটি পাইলট প্রকল্প। এই কর্মসূচির আওতায় টাঙ্গাইল জেলার ৩টি উপজেলায় (কালিহাতি, ঘাটাইল, মধুপুর) দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের ৮৭টি ভর্তিযোগ্য রোগের বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচি উক্ত জেলার সদর উপজেলা ছাড়া অবশিষ্ট ৮টি উপজেলায় সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পাইলটিং সফল হলে সারাদেশে এই কাজ সম্প্রসারণ করা হবে। তবে সেটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বলে জানানো হয় সেমিনারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএএম/জেডএস