হারিয়ে যাওয়া বিপন্ন প্রজাপতিকে খুঁজে বের করে তার পুনরুজ্জীবনে গবেষণার অবদান হিসেবে এবার এ পুরস্কার পান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোয়ার হোসেন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নিসর্গবিদ দ্বিজেন শর্মার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ছিল।
অনুষ্ঠানে পরস্কারপ্রাপ্ত মনোয়ার হোসেনকে পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০ হাজার টাকা, ক্রেস্ট, সনদপত্র তুলে দেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। শংসা বচন পাঠ করেন কথাসাহিত্যিক সাদিয়া মাহজাবিন ইমাম।
এছাড়া, বৃক্ষসখা হিসেবে উদ্দীপনামূলক পুরস্কার দেওয়া হয় শাহানা চৌধুরী ও লায়লা আহমেদকে। মানুষকে গাছ লাগানোর জন্য উৎসাহিত করতে এ পুরস্কার এ বছর থেকে প্রবর্তন করে তরুপল্লব।
জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন লোকগবেষক শামসুজ্জামান খান।
সম্মানিত অতিথি ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, প্রকৃতি বিশারদ ড. ইশতিয়াক উদ্দীন আহমদ প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তরুপল্লব-এর সাধারন সম্পাদক মোকারম হোসেন।
পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতিতে মনোয়ার হোসেন বলেন, তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দ্বিজেন শর্মা যে কাজ করে গেছেন আমাদের কাজ হচ্ছে সেই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। মানুষের মধ্যে প্রকৃতিপ্রেম বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তবেই পৃথিবী সুন্দর আবাসভূমি হয়ে উঠবে।
অতিথিরা বলেন, দ্বিজেন শর্মা তার লেখায় সাহিত্য ও বিজ্ঞানের সুন্দর সম্মিলন ঘটিয়েছেন। তার সেই লেখাগুলো আমাদের জন্য এখন সম্পদ। মানুষকে তিনি প্রকৃতি ও গাছের প্রতি ভালোবাসতে শিখিয়েছেন। তার আদর্শে উজ্জীবিত তরুণরাই আজ প্রকৃতি সংরক্ষণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এবং তার আদর্শ এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এইচএমএস/আরএ