রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিরতিঙ্গা চা-বাগানে আয়োজিত ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য’ বিষয়ক সেমিনারে অংশ নিয়ে এসব কথাই বলছিলেন মুন্নি-হরি দম্পতি।
নারী চা-শ্রমিকদের অনেককেই তাদের শরীরে অভূমিষ্ঠ সন্তান নিয়ে ভারী কাজে যেতে হয়।
এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন মুন্নি। স্বামী হরিনারায়ণ নুনিয়া স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে তাজ করেন মাজদিহি চা-বাগানে। আর মুন্নি এলাকার প্রাথমিক মানের বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। শিক্ষকতার পাশাপাশি চা-বাগানের অবহেলিত নারী চা-শ্রমিকদের নানা বিষয়ে সচেতন করার কাজটি করে থাকেন তিনি। অপর্ণা ও অনিমা নামে এগারো এবং ছয় বছরের দুটো কন্যা সন্তানও রয়েছে এ দম্পতির। দু’জনেই স্কুলে পড়ে।
বাংলানিউজকে মুন্নি বলেন, চা-বাগানের নারী শ্রমিকদের অনেকেই দারিদ্র ও অপুষ্টির শিকার। গর্ভবতী মায়েদের অবস্থা আরও করুণ। পেটে সন্তান নিয়েই কাজে যেতে হয় অনেককে। ফলে গর্ভাবস্থায় পাহাড়ি পথে হাঁটতে হাঁটতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যান তারা। সূর্যতাপ বাড়লে যখন তাদের জলের তৃষ্ণা পায়, তখন অনেক সময় পানিওয়ালাকে (যে ব্যক্তি চা শ্রমিকদের পানি পান করান) ধারে-কাছে পাওয়া যায় না।
হরিনারায়ণ নুনিয়া বলেন, আজ এই সেমিনার থেকে অনেক কিছু শিখলাম। আমরা এই বিষয়টি অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দেবো। বিশেষ করে পরিবার পরিকল্পনার নানা পদ্ধতি ও দিক। আমাদের মতো দুই সন্তান থাকলে পারিবারিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসে।
আক্ষেপের সুরে হরি বলতে থাকেন, দৈনিক ১০২ টাকা মজুরিতে আমাদের চা-শ্রমিকদের জীবনযাপন করা অনেক কঠিন ব্যাপার। তারপরও আমাদের তো টিকে থাকতে হবে বাবু। এছাড়া কোনো উপায় নেই
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
বিবিবি/এসএ