সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় তার নিজ বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের খাকছাড়া গ্রামে এসে পৌঁছায় তার মরদেহ। এর আগে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় শাহজালালের মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছায়।
জীবিকার তাগিদে বিদেশ গিয়ে বিমান হামলায় নিহত এ যুবকের মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ মরদেহ দেখতে ভিড় জমায় তার বাড়িতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে লিবিয়া যান মাদারীপুরের শাহজালাল কাজী। সেখানে কর্মরত অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। পরে তাকে লিবিয়াতে অন্যদের সঙ্গে একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে রাখা হয়। গত ২ জুলাই মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোরে ত্রিপোলির পূর্বাঞ্চলের ওই অভিবাসী আটক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালালে নিহত হন মাদারীপুরের শাহজালাল।
দুই মাসেরও বেশি সময় পর সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। সকাল ১০টায় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহত শাহজালালের বাবা ফজল কাজী বলেন, কাজের সন্ধানে আমার ছেলে লিবিয়া যায়। সেখানে কাজও করতো। বেশ কিছুদিন তার কোনো খোঁজ না পেলে পরে জানতে পারি কাজ থেকে বাসায় ফেরার পথে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু আমার ছেলে আর নেই। বিমান হামলায় মারা গেলো সে। আজ আমার ছেলের নিথর দেহ বাড়ি ফিরলো।
নিহত শাহজালালের বোন রুবি আক্তার বলেন, আমার ভাইয়ের লাশ দাফন হলো, আমাদের সব স্বপ্নও শেষ। ভাইয়ের একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যত আজ অনিশ্চিত।
নিহতের স্ত্রী সোনিয়া বলেন, আমাদের ভবিষ্যত কী হবে! আমার স্বামীর এখনো ৬ লাখ টাকা ঋণ। বিদেশ যাওয়ার সময় ধার-দেনা করে তাকে পাঠানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
আরএ