সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এ পদক তুলে দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতে পদক তুলে দেন ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের প্রধান উপদেষ্টা টি পি শ্রীনিবাসন ও সংস্থাটির চেয়ারপারসন দীনা দাস।
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, ভারতরত্ন ড. এ পি জে আব্দুল কালামের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে চালু হয় ‘ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’।
পদক গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা আমাকে সম্মানিত করেছেন, মানে বাংলাদেশের জনগণকে সম্মানিত করেছেন।
এই পুরস্কার আমাকে ও আমার সরকারকে আগামী দিনগুলিতে প্রাকৃতিক বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেমের সংরক্ষণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে জনগণের বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অর্জনে কাজ করতে উৎসাহ যোগাবে।
ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল পুরস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
অতীতে যারা নিজ নিজ দেশের ও সারা বিশ্বের টেকসই উন্নয়নের স্বীকৃতি হিসেবে এ পুরস্কার পেয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানান তিনি।
পুরস্কারটি দেশের জনগণের উদ্দেশে উৎসর্গ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ড. কালাম পদক প্রদান উপলক্ষে মানপত্র পাঠ করেন ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারপারসন দীনা দাস।
মানপত্রে দীনা দাস বলেন, মর্ডান বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট শেখ হাসিনা যিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে, দ্রুত বাংলাদেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তাকে (শেখ হাসিনা) প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি, ভারতরত্ম ড. এপিজে আবদুল কালামের নামে ড. কালাম স্মৃতি আন্তর্জাতিক এক্সিলেন্স পদক দেওয়া হয়েছে।
মানপত্রে তিনি আরও বলেন, ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ড. আবদুল কালাম ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দু’দেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে এবং ক্ষুধা-দারিদ্র্য, অশিক্ষামুক্ত করে সমৃদ্ধি আনতে কাজ করেছেন।
মানপত্রে বলা হয়, সন্ত্রাস, সংঘাত মুক্ত শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া ড. কালাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয়ের ভিশন।
এতে আরও বলা হয়, মানবকল্যাণে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাজের স্বীকৃতি এই পদক, যা প্রয়াত ড. আবদুল কালামের স্বপ্ন ছিল। যিনি বলেছিলেন, যা ঘুমিয়ে দেখা হয় তা স্বপ্ন নয়। বরং যা ঘুমোতে দেয় না তাই স্বপ্ন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল থেকে কেরালার ঐতিহ্যবাহী শাড়ি দেওয়া হয়।
২০১৫ সাল থেকে ভারতের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, ভারতরত্ম ড. এপিজে আব্দুল কালামের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এ পদক চালু করা হয়। মালদ্বীপ, ঘানা, মরিশাসসহ কয়েকটি দেশের প্রেসিডেন্ট এ পদক নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এমইউএম/একে/এইচএ/এএ