সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টেকনাফের ২৬ নম্বর শরণার্থী ক্যাম্প ইনচার্জের (সিআইসি) কার্যালয়ে রোহিঙ্গা নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ প্রতিনিধি দলকে এসব কথা জানান রোহিঙ্গারা।
এ সময় রোহিঙ্গাদের কাছে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার বাধার বিষয়ে জানতে চান।
বৈঠকে থাকা রোহিঙ্গা নেতা আবুল ফয়েজ, গুরা মিয়া ও মো. জসীমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
রোহিঙ্গা নেতা আবুল ফয়েজ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা তাদের বলেছি, আমাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আমরা একটি ক্যাম্প থেকে আরেকটি ক্যাম্পে যাবো না। আমরা আমাদের নিজ বসতভিটায় ফিরে যেতে চাই।
রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা শালবন শিবিরের তিনটি ঘরে যান। এ সময় শিবিরের শিশুদের জন্য কয়েকটি স্কুল ব্যাগ ও ফুটবল দেওয়া হয়।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে চীনের রাষ্ট্রদূত টেকনাফের কেরুনতলী ট্রানজিট ঘাট পরির্দশন করেন। এ সময় চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কক্সবাজার অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দৌজা নয়ন, নয়াপাড়া শরণার্থী রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ (সিআইসি) আব্দুল হান্নান, জাদিমুরা ও শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের ইনচার্জ মোহাম্মদ খালিদ হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এসবি/এমএ