দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- খালিশপুরের বাস্তুহারা এলাকার মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও সাদেক হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (৩৭)।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মহিদুজ্জামান আলোচিত এ গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- খালিশপুরের বাসিন্দা মোজাফ্ফর আহমেদের ছেলে মো. আশা মিয়া (২২), মো. আব্দুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলি (২৪), মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৪০) ও আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মোমিনুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আফসানা মিমিকে (১৪) গণধর্ষণের পর হত্যা মামলার রায়ে দু’জনকে ফাঁসি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার বাদী মিমির বাবা মো. ইমাম হোসেন এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আসামিদের দ্রুত ফাঁসি বাস্তবায়নের দাবি জানান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে খালিশপুর থানাধীন বাস্তুহারা কলোনির রোড নম্বর-৯, বাড়ি নম্বর-৪৯৮ এর বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের ১৪ বছরের শিশুকন্যা আফসানা মিমি দুই টাকা নিয়ে ঝালমুড়ি কিনতে যায়। কিন্তু অনেক সময় পরেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে ইমাম হোসেন রাতেই খালিশপুর থানায় জিডি করেন।
পরের দিন দুপুর ৩টার দিকে মাদ্রাসার খাদেম কুদ্দুস দিঘিতে আফসানা মিমির মরদেহ পেয়ে ইমাম হোসেনকে খবর দেন। এ ঘটনায় ইমাম হোসেন খালিশপুর থানায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন যার নম্বর-১৭। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও ইমাম হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ কয়েকজন তার মেয়ে আফসানা মিমিকে উত্ত্যক্ত করতো। ২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোকাদ্দেশ আলি আদালতে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরএম/এএ