মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের পীরপালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের কোঁচড়া গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে ইমদাদুল হক (২৮), মানিকের ছেলে বাচ্চু (৩০) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০) এবং নলঘৈর গ্রামের মিঠানু প্রামানিকের ছেলে মোস্তফা প্রামানিক (৪০)।
পুলিশ জানায়, পলাতক সজল নওগাঁর সদর থানায় দায়েরকৃত হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি। গ্রেফতার এড়াতে বেশ কিছুদিন ধরে তিনি মান্দা সদর ইউনিয়নের কোঁচড়া গ্রামে আত্মগোপনে ছিলেন। তার বাবা মোজাম্মেল হক নওগাঁ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। নওগাঁ সদর থানার চকমুক্তার মহল্লায় তারা সপরিবারে থাকেন। একই মহল্লার মোনায়েম হোসেন খান নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে গত ৩০ জুলাই নওগাঁ সদর মডেল থানায় সজলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, মান্দা থানার এসআই নাজমুল হোসেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পীরপালি বাজারের লেবু নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকানে থেকে সজলকে (৩০) গ্রেফতারের হাতকড়া লাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় সজলের সহযোগীরা এসআই নাজমুল হোসেনের পথরোধ করে তাকে লাঞ্ছিতসহ সজলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নওগাঁ সদর থানার প্রেরিত বার্তায় সজলকে গ্রেফতারের জন্য মান্দা থানার এসআই নাজমুল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সজলকে গ্রেফতারের জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পীরপালি বাজারে অভিযান দেন নাজমুল হোসেন। আসামিকে হাতকড়া লাগিয়ে নিয়ে আসার সময় পুলিশকে লাঞ্ছিত করে সজলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সহযোগীরা।
তিনি আরও জানান, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশকে লাঞ্ছিত ও আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এসআই নাজমুল হক বাদী হয়ে সজলসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৯-১০ জনের বিরুদ্ধে মান্দা থানায় মামলা করেন। আর সজলকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এনটি