বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইবনে মিজান।
তিনি জানান, পুলিশ মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীর পক্ষে সহকারী মহাপরিদর্শক (পারসোনাল ম্যানেজমেন্ট) আব্দুল্লাহিল বাকী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল ইবনে মিজান বলেন, সদর উপজেলার দাপুনিয়া দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে মামলা না নিয়ে এক ধর্ষকের সঙ্গে থানায় বিয়ে দেওয়ার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে পুলিশি তদন্তে এ ঘটনায় ওসি ওবাইদুল হক এবং এসআই একরামুল হকের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। প্রাথমিক ভাবে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম গত ১২ সেপ্টেম্বর ওসিকে প্রত্যাহার ও এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তদন্ত রিপোর্ট পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানোর পর প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা শেষে মঙ্গলবার রাতে ওসি ওবাইদুল হককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে পুলিশ সদর দপ্তর।
এদিকে এ ঘটনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে গঠিত জেলা প্রশাসকের তদন্ত দলের প্রতিবেদনেও ধারাবাহিক গণধর্ষণ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মামলা না নিয়ে পাবনা সদর থানার ওসির নির্দেশে এক ধর্ষকের সঙ্গে বিয়েসহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিটি ঘটনার সত্যতা মিলেছে। পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ ওই তদন্ত প্রতিবেদনটিও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে পাঠিয়েছেন।
গত ২৯ আগস্ট রাতে পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের যশোদল সাহাপুর গ্রামের তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাসেল, দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ঘন্টু, ওসমান, হোসেন ও সঞ্জু নামের ৫ যুবক আটকে রেখে টানা ৪ দিন ধরে ধর্ষণ করে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত না করে অভিযুক্ত এক ধর্ষক রাসেলের সঙ্গে থানা চত্বরে বিয়ে দিয়ে ঘটনাটির নিষ্পত্তির চেষ্টা করে। পরে পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামের নির্দেশে গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলা গ্রহণের পর অভিযুক্ত সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এসএইচ