বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের গজারির বিল থেকে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মোশারফ হোসেন ঘাটাইল উপজেলার দীঘড় ইউনিয়নের নয়াবাড়ী গ্রামের সেকান্দার আলীর বড় ছেলে।
জানা যায়, বুধবার সকালে স্থানীয় জেলেরা গজারিয়া বিলে মাছ ধরার উদ্দেশে জাল টান দিলে মানুষের পায়ের গোড়ালির হাঁড় দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের বিষয়টি জানায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দুপুরে ডুবুরি দল এসে প্রায় দেড়ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে ৩টায় গজারিয়া বিল থেকে প্রবাসী মোশারফ মিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গত ৪ আগস্ট ঘাটাইলের কদমতলী গরুর হাট থেকে ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে নিখোঁজ হন প্রবাসী মোশারফ। পরের দিন তার পরিবার ঘাটাইল থানায় জিডি করলে পুলিশ তার কললিস্টের সূত্র ধরে প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী ও কালিহাতী উপজেলার বীর বাসিন্দা গ্রামের মৃত মেসের আলী মণ্ডলের মেয়ে নাসিমাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিনের পরকিয়ার কথা স্বীকার করেন নাসিমা।
পরে স্বীকারোক্তিতে নাসিমা জানান, গত ৪ আগস্ট মোশারফের সঙ্গে দেখা ও ভাই আখতারের পরিকল্পনায় ও সহায়তায় কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা এলাকায় মোশারফকে হত্যা করে বস্তায় ভরে ইট বেঁধে ওই গ্রামের গজারিয়া বিলে ডুবিয়ে রাখে। পরে নাসিমাকে গত ১৭ আগস্ট আদালতে পাঠায় পুলিশ। এ মামলার অন্যতম আসামি আখতার মুন্সি পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এনটি