বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই ছাত্রীর পরিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ জানান।
ছাত্রীর মা-বাবা বলেন, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে সহপাঠীদের সঙ্গে তাদের মেয়ে বাঙ্গাখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়।
পরে মেয়েটি বাড়ি গিয়ে মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করতে গেলে ওই শিক্ষক ছাত্রীর মা-বাবার কাছে ক্ষমা চান। পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বিষয়টি জানানো হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ানো যাবে না। আর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। সত্যতা পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল বলেন, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সাইফুল বলেন, আমি গত তিন বছর ধরে ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছি। তার সাথে কখনো খারাপ আচরণ করা হয়নি। এটি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
এসআর/এইচজে