বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, ফুলতলার পায়গ্রাম কসবা গ্রামের সৈয়দ আমজাদ হোসেনের ছেলে সৈয়দ ইসরাইল হোসেন রাজুর বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতো তার ভাইঝি (১৫)।
এদিকে, যশোরের ভাতুড়িয়া দাড়িপাড়া গ্রামের কাজী হাবিবুর রহমানের ছেলে কাজী রাসেল (১৯) মামাবাড়িতে এসে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে কয়েকদিন ধরে ধর্ষণ করে। সম্প্রতি মেয়েটি অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তাকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক তার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে রাসেলের বড় ভাই কাজী মিরন (২৫) ও মিরনের স্ত্রী প্রিয়া খাতুন (২০) কৌশলে কিশোরীকে একটি ক্লিনিকে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায়। বিষয়টি জানাজানি হলে কিশোরীটির চাচা ইসরাইল হোসেন রাজু বাদী হয়ে কাজী রাসেল, কাজী মিরান ও প্রিয়া খাতুনকে আসামী করে থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) রতনুজ্জামান বলেন, এজাহারভুক্ত তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেলে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আসামি রাসেলের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তিন আসামিকেই কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরএম/এমকেআর