বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন। কামাল উপজেলার চরগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে কামাল হোসেন।
ওসি ইকবাল হোসেন জানান, দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম আসামি কামাল। বুধবার তাকে কারাগারে পাঠানো হবে। এছাড়া সন্ত্রাসী মুসাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপর একটি সূত্র জানায়, মুসার অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত কামাল হোসেন। বিভিন্ন সময় আত্মগোপনে থাকতে মুসার অন্যতম সহায়তাকারী ছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর এলাকায় তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ সোহান আহমেদ মুসাকে ধরতে শহরের সালামতপুর এলাকায় তার দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার এবং উপ পরিদর্শক (এসআই) ফখরুজ্জামানকে কুপিয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে ওসি উত্তম কুমারকে সিলেটে এবং এসআই ফখরুজ্জামানকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরদিন নবীগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আহমেদ ১৫ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মুসার মা সামছুন্নাহার (৫০), বোন মৌসুমী আক্তার (২৬), শাম্মী আক্তার (২২) ও তন্নী আক্তারকে (১৯) গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এমকেআর