বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশ থেকে শামসুজ্জামান দুদুকে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করেন ছাত্রলীগের দু’টি অংশের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল থেকে শহরের সরকারি গার্লস স্কুলের সামনে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় বাড়ির আসবাবপত্র।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন নেতাকর্মীরা। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক।
পরে মিছিলটি শহরের শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে সমাবেশ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেলের উপস্থাপনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক ও সহ-সভাপতি শাহাবুল হোসেন।
বক্তারা বলেন, একটি টেলিভিশনের টকশোতে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু যেভাবে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে হুমকি দেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানায় ছাত্রলীগ নেতারা। একই সঙ্গে শামসুজ্জামান দুদুকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুতুল দাহ করা হয়।
এদিকে, একই দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকেও বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। মিছিল চলাকালে শহরের সরকারি গার্লস স্কুলের সামনে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
শামসুজ্জামান দুদুর ছোট ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ওয়াহেদুজ্জামান বুলা জানান, হামলার সময় বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এমকেআর