বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ পুরস্কারের জন্য তার নাম ঘোষণা করে হংকংভিত্তিক ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন।
প্রতিষ্ঠানটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, স্যার ফজলে হাসান আবেদের উন্নয়ন দর্শনের একটি অন্যতম স্তম্ভ হলো শিক্ষা।
ইদান পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা ড. চার্লস চেন ইদান বলেন, জাতি, ধর্ম, অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে স্বাস্থ্য, পরিবেশসহ মানুষের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণের জন্য জ্ঞান অর্জন করতে হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে মানসম্পন্ন গবেষণা ও যুগোপযোগী উন্নয়ন ঘটিয়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশ একটি সমৃদ্ধ পৃথিবী বিনির্মাণে অবদান রাখবে। এটাই আমার প্রত্যাশা।
বর্তমানে বাংলাদেশ, উগান্ডা ও তানজানিয়ায় ব্র্যাকের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে মোট ৬৫৬টি প্লে-ল্যাব, যেখানে প্রতিদিন নানা কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে অন্তত ১১ হাজার ৫০০ শিশু। এছাড়াও শরণার্থী শিশুরা যাতে আনন্দময় পরিবেশে খেলায় খেলায় শিক্ষালাভের মাধ্যমে মানসিক ক্ষত কাঠিয়ে উঠতে পারে, সে উদ্দেশে হিউম্যানিটারিয়ান প্লে-ল্যাব নামে একটি মডেল তৈরি করেছে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করতে শৈশবেই অনুকূল পরিবেশে শেখার সুযোগ করে দেওয়াটা জরুরি। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের জন্য খেলায় খেলায় শিক্ষালাভের বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে থাকে ব্র্যাক। এর মধ্যে শরণার্থী শিবিরের শিশুরাও আছে, যারা নানাবিধ মানসিক সমস্যা নিয়ে বড় হচ্ছে। শৈশবেই খেলাধুলা এবং হাসিখুশি থাকার পর্যাপ্ত সুযোগ দিলে তারাও সুস্থ মানুষ হিসেবে বড় হয়ে উঠতে পারবে। আমি আশা করি, বিশ্বনেতারা এই বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে এর উন্নয়ন ও প্রসারে এগিয়ে আসবেন।
আসছে ডিসেম্বরে হংকংয়ে আয়োজন হবে ইদান প্রাইজের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেখানে স্যার ফজলে হাসানকে একটি স্বর্ণপদক এবং পুরস্কারের অর্থমূল্য বাবদ ৩০ মিলিয়ন হংকং ডলার (৩.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩৩ কোটি টাকা) দেওয়া হবে। পুরস্কারের অর্থ নগদ এবং প্রকল্প তহবিল- এই দুই ভাগে সমানভাবে দেওয়া হবে।
স্যার ফজলে আরও বলেন, ইদান পুরস্কার থেকে পাওয়া অর্থ ব্র্যাকের শিক্ষা কার্যক্রম বিস্তারে বিশেষ সহায়ক হবে। এই তহবিল আমরা দুটি কাজে ব্যয় করবো। প্রথমত: আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করতে। দ্বিতীয়ত: আরও নতুন নতুন প্লে-ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে।
ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশন দুটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পুরস্কারটি দিয়ে থাকে। এর একটি হচ্ছে শিক্ষা গবেষণা; এ বছর যেটি পাচ্ছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। অপরটি শিক্ষা উন্নয়ন; এবার এ পুরষ্কারটি পাচ্ছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কগনিটিভ ডেভেলপমেন্টাল নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক ঊষা গোস্বামী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এসই/টিএ