বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের পাওয়ার হাউসের ভেতর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
এলাকাবাসী জানায়, বিকেলে জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল আব্বাসকে পাওয়ার হাউসের ভেতর থেকে ধরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দিকে নিয়ে যায়।
সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআই খোলা এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের ভাড়া বাসা থেকে নাজনীন এবং তার দুই মেয়ে নুসরাত (৫) ও সুনাইনা ওরফে খাদিজার (১) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা যায়, আব্বাস মাদক সেবন করে প্রায়ই তার স্ত্রী ইয়াসমিন ও প্রতিবন্ধী সন্তান সুমাইয়াকে (১৫) মারধর করতেন। তার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে সুমাইয়াকে নিয়ে বোন নাজনীন বেগমের ভাড়া বাসায় চলে যান ইয়াসমিন। কিন্তু আব্বাস সেখানে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন নাজনীন এবং তার দুই মেয়েকে। এমনকি সুমাইয়াকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন।
ইয়াসমিনের ছোট ভাই হাসান জানান, ইয়াসমিন তার মেয়েকে নিয়ে নাজনীনের বাসায় চলে আসার পর আব্বাসও রাতে এই বাসায় চলে আসেন। কিন্তু ইয়াসমিন সকালে কারখানায় চলে গেলে কলহের বিষয়গুলো নিয়ে শ্যালিকার সঙ্গে বিবাদে জড়ান আব্বাস। এরপর তিনি তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করেন এবং নিজের মেয়েকেও কুপিয়ে জখম করেন।
আহত সুমাইয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এইচএ/
** তিনজনের গলা কেটে নিজের মেয়েকেও কোপান মাদকাসক্ত আব্বাস