বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাংলাদেশ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি), ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথের প্রতিনিধিদল ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ান্স অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিএপিপিডি) নেতৃদ্বয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান। জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সংসদের গণসংযোগ শাখার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাতকালে তারা সংসদীয় কার্যক্রম, আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস, জনসংখ্যার উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এসময় স্পিকার বলেন, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার ও বাল্যবিয়ে হ্রাস পেয়েছে। জাতীয় সংসদের বিএপিপিডির নেতৃদ্বয় বাল্যবিয়ে রোধ, মাতৃমৃত্যু হ্রাস ও যুব উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সফলতার উদাহরণ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ একটি ইউনিক সংসদ। এ সংসদের সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা সবাই নারী। বাংলাদেশে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদের মোট ৭৩জন সংসদ সদস্য নারী, যাদের মধ্যে ৫০জন সংসদ সদস্য সংরক্ষিত মহিলা আসনের এবং ২৩জন জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাংলাদেশের নারী ও শিশু উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সংসদ সদস্যদের অংশগ্রহণ দৃষ্টান্তমূলক মনে করেন প্রতিনিধিদল। এছাড়া বিএপিপিডি’র আওতায় যুব উন্নয়ন, মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীমূলক কার্যক্রমে সংসদের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপি, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. আব্দুস শহীদ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এপিপিজির ১০ প্রতিনিধি অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এসকে/ওএইচ/