বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলা পুলিশ লাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মীদের এসব তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ (এসপি) সুপার হারুন অর রশীদ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য হত্যাকারী দিয়েছেন এবং সে নিজেই হত্যা করেছে বলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এসপি জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থান শনাক্ত করে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউসের পাশের একটি কমিউনিটি সেন্টারের পর্দা ঘেরা টেবিলের নিচ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে জানায়, তার শ্যালিকা সকালের নাস্তা বানিয়ে দিয়ে স্ত্রী সেটি খেয়ে ও দুপুরের খাবার নিয়ে কাজে বেরিয়ে যায়। পৌনে ৭টায় স্ত্রী বের হয়ে গেলে প্রথমে শ্যালিকাকে গলা কেটে হত্যা করে পরে একে একে শ্যালিকার দুই সন্তানকে হত্যা করে সে। সবার শেষে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে সামনে পেয়ে তাকেও কুপিয়ে জখম করে দ্রুত পালিয়ে যায় সে।
এর আগে সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সিআই খোলা এলাকার ৬তলা একটি ভবন থেকে নিহত মা ও দুই মেয়ের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলো ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া সুমন মিয়ার স্ত্রী নাজনীন বেগম (২৫), তার মেয়ে নুসরাত (৫) ও সুনাইনা ওরফে খাদিজা (১)।
আর আহত সুমাইয়া (১৫) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এমএমএস