রেল স্টেশন অফিসের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে বুকিং সহকারী হুমায়ুন গ্রেড-২ অফিসের টাকা তসরুপসহ নানা অনিয়ম করে আসছিল। বিষয়টি উপর মহলে জানাজানি হলে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাকশী থেকে অ্যাসিটেন্ট কমার্শিয়াল অফিসার মজিবর রহমান ও সহকারী পরিদর্শক (টিআইএ) আল আমিন তদন্তে আসেন।
এসময় পাকশী থেকে অফিসার আসার খবর পেয়ে বুকিং সহকারী হুমায়ুন তার কর্মস্থল থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরিদর্শনে আসা টিআইএ আল-আমিন হুমায়ুনের বাসা থেকে তাকে নিয়ে বিকালে ডোমার ষ্টেশন অফিসে আসেন। তার উপস্থিতিতে কর্মকর্তাগণ তদন্ত করে নীলসাগর, রুপসা, বরেন্দ্র, তিতুমীর ট্রেনের টিকিট বিক্রির প্রায় ১৪ লাখ টাকার হিসাব গড়মিল পায়। ঐ রাতেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং তাকে ১৪ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, হুমায়ুন এখানে যোগদানের পর থেকে তার নিজ এলাকার ৪জন টিকিট কালোবাজারীকে কাজে লাগিয়ে নানা রকম অপকর্ম চালিয়ে আসছে। তার এ অপকর্মে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ষ্টেশনের বড়বাবু আব্দুল মতিন এ বিষয়ে বলেন, টাকার বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি, তারা এসে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায়্ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এ বিষয়ে জানতে বুকিং সহকারী হুমায়ুন কবির এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএমএস