পাশাপাশি রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে হাসপাতালে স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে সুলতানা নামের এক রোগীর মৃত্যু হলে স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং হট্টগোল শুরু করেন।
স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের বার বার বলার পরেও তারা রোগীর যথাযথ চিকিৎসা করেননি। এমনকি তাকে গেলো রাতে অতিরিক্ত ব্যাথানাশক ওষুধ দেওয়া হয়।
মৃতের স্বজন (ভগ্নিপতি) জাহাঙ্গীর জানান, ২৭ আগস্ট বরিশালের হেমায়েত উদ্দিন ডায়াবেটিক হাসপাতালে বরিশাল সদর উপজেলার চর কাউয়া এলাকার বাসিন্দা বসির খানের স্ত্রী সুলতানা (৩২) গর্ভবতী অবস্থায় ভর্তি হন। ওই দিনই সেই হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
এরপর সেখান থেকে চলে যাওয়ার ৪/৫ দিনের মধ্যে সুলতানা হঠাৎ করে অসুস্থ বোধ করলে বরিশালের রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেখান থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি-৩ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৮ টায় সুলতানার মৃত্যু হয়। কিন্তু গতকালও সুলতানা সুস্থ ছিল, হাঁটাচলা করেছে।
মৃতের স্বজন আজিজ জানান, সুলতানার শরীরের ভেতরে ইনফেকশন করেছে এমনটা আমরা চিকিৎসকের কাছ থেকেই জেনেছি। এরপর চিকিৎসকরা তার শরীরে অস্ত্রপচারও করেন। সুলতানা সুস্থ হয়ে উঠছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই সকালে তার মৃত্যু হয়। বারবার বলার পরও সুলতানার যথাযথ খোঁজ-খবর নেননি দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।
তবে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে এ রোগী আগে থেকেই সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ছিল। যথাযথ চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল শেবাচিম হাসাপাতালে।
এদিকে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ জালাল বলেন, রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছেন, বর্তমানে হাসপাতালের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএস/এইচএডি