শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে পণ্যবোঝাই ট্রাকের কিছুটা চাপের এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট পারাপারের জন্য বড় যাত্রীবাহী পরিবহন অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক ও সাধারণ পণ্যবোঝাই ট্রাক রয়েছে দেড় শতাধিক।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টিকিট কাউন্টারে গেলে ট্রাকচালকদের টিকিট দিতে না-অজুহাত দেখিয়ে ফেরত দিতে দেখা যায়। অথচ দালাল চক্ররের সদস্যরা অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে টিকিট কেটে দিচ্ছে।
যশোরগামী পণ্যবোঝাই ট্রাকচালক শুকুর বাংলানিউজকে বলেন, ভোর থেকে ঘাট পার হওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি। যাত্রীবাহী পরিবহন ও ছোট গাড়ী (প্রাইভেটকার) সরাসরি ফেরি পারাপার হচ্ছে এবং ওই গাড়িগুলোর সঙ্গে আমাদের দু’একটি পণ্যবোঝাই ট্রাক দিলে আমরা সবাই পার হতে পারতাম। আর ঘাট এলাকাতে কোনো ট্রাক পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো না।
ঘাটে অপেক্ষারত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চালক বাংলানিউজকে বলেন, ঘাটে এলেই যত ঝামেলা পোহাতে হয় ট্রাকচালকদের। পারাপারের জন্য ফেরির টিকিট কাটতে বিআইডব্লিটিসির কাউন্টারে গেলে বলা হয় টিকিট নাই। এদিকে আবার একদল দালাল এসে বলেন ‘১৫০০ টাকা দেন, টিকিট কেটে দিচ্ছি’, অথচ টিকিটের মূল্য এক হাজার ৬০ টাকা। বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত টাকায় ওই দালালদের দিয়েই কাটাতে হচ্ছে টিকিট।
বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার এলেই অন্যদিনের চেয়ে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের কিছুটা বাড়তি চাপ থাকে। বড় যাত্রীবাহী পরিবহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক, পণ্যবোঝাই ট্রাক রয়েছে ১৫০টি। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী পরিবহন, ছোট গাড়ি (প্রাইভেটকার), জরুরি পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। সাধারণ পণ্যবোঝাই ট্রাকচালকরা যে অভিযোগ করছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের এখানে কোনো দালালের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হয় না।
এদিকে, নদীতে পানি বাড়ায় ও স্রোতের কারণে ফেরি চলাচলে কিছুটা সময় আগের চেয়ে বেশি লাগছে। যার কারণে ঘাটে কিছুটা গাড়ির চাপ রয়েছে। বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এসআরএস