৫ তলা বিশিষ্ট সেই বাড়ি দেখে মনে হবে যেন কোনো রাজপ্রাসাদ। নিজের সেই রাজপ্রাসাদেই থাকতেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জি কে শামীম।
এতোদিন এ বাড়িটি নিয়ে মানুষের কোনো কৌতূহল ছিল না। ছিল নিরিবিলি পরিবেশ। কিন্তু শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সেই বাড়ি নিয়ে স্থানীয় মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। যুবলীগ নেতা শামীমকে গ্রেফতারের পর নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর চেক উদ্ধারের ঘটনার পর থেকেই আলোচনায় এই বাড়ি। স্থানীয় লোকজন কৌতূহল নিয়েই ভিড় করেছেন বাড়ির সামনে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারুকার্যময় বাড়ির গেটের সামনে মানুষের ভিড়। বাড়িটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সাধারণ কোনো বাড়ির মতো নয়। প্রযুক্তি সমৃদ্ধ গেট দিয়েই ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। গেটের ভেতরে গেস্ট রুমে বহু ভিআইপির সঙ্গে শামীমের ছবি টানানো রয়েছে। পার্কিং জোনে বিলাসবহুল তিনটি গাড়ি। দোতলায় ওঠার জায়গায় সুরক্ষিত দরজা। সেই জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘিরে রাখায় প্রবেশ করা যায়নি।
যুবলীগ নেতা শামীমের সেই সুরক্ষিত রাজপ্রাসাদ ও তার রাজসিক জীবনযাপন এখন স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে।
এদিকে এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ইয়াকুব নামের এক বাসিন্দা বাংলানিউজকে বলেন, এ ধরনের অভিযানের আশায় ছিল মানুষ। এজন্য ধন্যবাদ পেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের টাকা দেশেই থাকুক। কিন্তু শামীমের মতো অবৈধ টাকা উপার্জনকারীরা টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। এটা দেশের জন্য ভালো নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
টিএম/এইচএডি