শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেটের পীর হাবিবুর রহমান চত্বরের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টম্বর) সিলেটে পালিয়ে গিয়ে অপহরণের নাটক সাজায় মাসুম ও তার সঙ্গীরা।
মাসুম উপজেলার ভুজবল এলাকার কাতার প্রবাসী সুলেমান মিয়ার ছেলে। স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে হাফিজিয়া পড়া শেষ করে বর্তমানে সে ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় দাখিল পরীক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টম্বর) মাসুমের পরিবারের কাছে একটি ফোন কল আসে। ফোনে জানানো হয় মাসুমকে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে ফেরত চাইলে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। বিষয়টি জেনে মাসুমের পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশ একাধিক অভিযান চালিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় মাসুমকে উদ্ধার করে। এসময় আরও তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাশেদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মাসুমের পরিবার থানায় জিডি করার পর আমরা বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে একাধিক জায়গায় অভিযান করেছি। আজ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিলেটের পীর হাবিবুর রহমান চত্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাসুমকে উদ্ধার ও তিন ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
থানায় এসে জিজ্ঞাসাবাদে মাসুম জানায়, পরিবারের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য সে তার এক চাচা সালমান মিয়া ও আরও দুই সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে এ অপহরণের নাটক সাজায়। মুক্তিপণ আদায় করতে পারলে তারা সে টাকা ভাগ করে নেওয়ার কথা ছিল।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, অপহরণের নাটক সাজিয়ে প্রতারণাকারী মাসুম ও তার সঙ্গে জড়িত মাসুমের চাচা সালমানসহ আটকদের থানায় এনে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময় ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
আরএ