শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লী বাংলা স্কুল সংলগ্ন আক্কেল আলীর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতনের শিকার হুমায়ুনের স্ত্রী শিমু বেগম বলেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামের মো. হানিফ খানের গাছ কেনার জন্য সকাল ১০টার দিকে এক লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন তার স্বামী। দুপুর দেড়টার দিকে খবর পান তার স্বামীকে মারধর করে আক্কেল আলীর বাড়ি সংলগ্ন একটি বাগানে গাছের সঙ্গে অচেতন অবস্থায় বেঁধে রাখা হয়েছে। এসময় তারা ঘটনাস্থলে যান এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে খবর দেন।
গৃহবধূ শিমু বেগমের অভিযোগ, আক্কেল আলীর স্বজনরা মিলে তার স্বামীকে গাছের সঙ্গে শেকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করেন। পরে তার সঙ্গে থাকা এক লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যান।
এদিকে, খবর পেয়ে রায়পাশাপা-কড়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খোকন ও এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুলসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
বরিশাল মহানগর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম জাহিদ দিন আলম জানান, একটি বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে কড়াপুরের ওই এলাকায় যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বাধা অবস্থায় দেখতে পায়।
তিনি বলেন, মূলত যে মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল, সেই মেয়ের সঙ্গে অন্য কোনো ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গাছ ব্যবসায়ী বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরে মেয়ের পরিবারের লেকেরা ভাবে ওই মেয়ের প্রেমিকের লোক হতে পারে। এজন্য তাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন। তিনি বাড়ি থেকে চলেও যান। কিন্তু কিছুক্ষন পরে বিয়ে বাড়ির কিছু লোক তাকে মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
ওসি বলেন, ভুল বোঝাবোঝির মাধ্যমেই এমনটি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরে গাছ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে গাছ ব্যবসায়ীর কোনো টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে আমাদের জানায়নি।
নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তি মামলা করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এমএস/আরবি/