প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবি জানায়, ঘটনার সময় ঘাতক বাসটির চালকের আসনে ছিলেন সহকারী আক্তার হোসেন। আর চালক সুমন পাশের সিটে বসা ছিলেন।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইড় বাজার এলাকা থেকে সুমনকে ও শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানাধীন দিনারা এলাকা থেকে আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির উত্তর বিভাগের একটি টিম।
ডিবি আরো জানায়, পারভেজ রবকে চাপা দিয়ে হত্যার পর চালক-সহকারী দুজনেই একসঙ্গে ঢাকা ত্যাগ করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুজনেই তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নদীতে ফেলে দেন।
এ বিষয়ে ডিবি উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চালক সুমন জানায়, ঘটনার সময় তিনি চালকের আসনে ছিলেন না। তার সহকারী আক্তার বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন এবং চালক সুমন পাশের সিটে বসা ছিলেন। টঙ্গী থেকে তুরাগে আসার পর বাসটি পারভেজ রবকে চাপা দেয়।
তিনি বলেন, বাসটির মূল চালক সুমনের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও সহকারী আক্তারের কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। তারপরও তিনি বাসটি চালাচ্ছিলেন। আক্তার মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলেই ড্রাইভিং সিটে বসতেন।
তাদের দুজনকে তুরাগ থানায় দায়ের করা মামলা (নং-৮) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় তুরাগ থানাধীন ধউর ইস্টওয়েস্ট মেডিকেল কলেজের সামনে মেইন রোডের উত্তর পাশে সঙ্গীত শিল্পী ও পরিচালক পারভেজ রব সদরঘাট যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ভিক্টর ক্লাসিক নামের বাসটি (রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ব-১২-০৯৬৩) থামানোর জন্য সংকেত দিলে চালক বাসটি না থামিয়ে বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে বাসটি চালিয়ে পারভেজ রবকে চাপা দেয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুমানা বেগম বাদী হয়ে তুরাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনার দুইদিন পর ৭ সেপ্টেম্বর পাভেজ রবের ছেলে ইয়াসির আলভী ও ছেলের বন্ধু মেহেদী হাসান ছোটনদেরকে ভিক্টর ক্লাসিকের অপর একটি বাস উত্তরা ৯ নং সেক্টর এলাকায় চাপা দেয়। এ ঘটনায় ইয়াসির আলভী রব গুরুতর আহত হন এবং মেহেদী হাসান ছোটন নিহত হন। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় আরেকটি মামলা দায়ের হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
পিএম/জেডএস