শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহররের রেলবাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে শহরের রেল বাজার এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক শফি।
পরে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন বাংলানিউজকে জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শফির পিঠে, ঘাড়ে ও পেটে মারাত্মক জখম হয়েছে। তার ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে, ফলে অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের এ নেতার ওপর হামলার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশাদুল হক বিশ্বাস, পৌর-মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে দেখতে হাসপাতালে যান।
আশাদুল হক বিশ্বাস শফির ওপর এ হামলাকে ন্যাক্কারজনক অভিহিত করে বলেন, অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় শান্ত চুয়াডাঙ্গা অশান্ত হলে দায় তার প্রশাসনকে নিতে হবে।
পৌর-মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী হামলাকারীদের জেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে দাবি করেন। তাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, হামলা করে চুয়াডাঙ্গাতে রাজনীতি করা যাবে না। তিনিও দ্রুত এ ঘটনা জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, হামলাকারীরা যার লোকই হোক, তাদের প্রকৃত পরিচয়- তারা সন্ত্রাসী। যত শক্তিশালীই হোক তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এরই মাঝে হামলায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে রাতেই শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। সে সময় তারা এ ঘটনায় ছাত্রলীগের চিহ্নিত একটি গ্রুপকে দায়ী করে স্লোগান দিতে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
জেএস/এইচজে