শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নগরের ধোপাদিঘীর পাড় ইউনাইটেড কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন ঘিরে দিনভর ছিল ব্যবসায়ীদের মিলন-মেলা।
নির্বাচনে নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেন ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যরা। মধ্যরাতে ফলাফল ঘোষণাকালেও কমতি ছিল না জনসমাগমের। মধ্যরাতে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাছির উদ্দিন খান।
নির্বাচনে ২২টি পদে ৪ ক্যাটাগরিতে ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। অর্ডিনারী শ্রেণীতে দুইটি প্যানেলে ১২ জন করে ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ৪টি সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ এবং ৮টিতে সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থীরা বিজয়ী হন। এসোসিয়েট ও গ্রুপ শ্রেণীতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী হয়।
প্রাপ্ত ফলাফলে অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে সর্বাধিক ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থী হুমায়ূন আহমদ। তার মোট প্রাপ্ত ভোট ৯০৪টি। এই প্যানেলের বিজয়ী অন্য প্রার্থীরা হলেন- মো. নজরুল ইসলাম বাবুল (৬৮৮), আবু তাহের মো. শোয়েব (৬৭৭) ও মো. মামুন কিবরিয়া সুমন (৬৬৬)।
এছাড়াও সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের আলীমুল এহছান চৌধুরী (৮৬২), মুশফিক জায়গীরদার (৮২৭ ), এহতেশামুল হক চৌধুরী (৮২৭), ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ (৭৮৯), মো. সাহিদুর রহমান (৭৫৭), মো. আব্দুর রহমান জামিল (৭৪৪), খন্দকার ইসরার আহমদ রকি (৬৭২), ফখর উস সালেহীন নাহিয়ান (৬৬৮) বিজয়ী হয়েছেন।
অর্ডিনারিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের প্রার্থী এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, মো. ফারুক আহমদ, জুবায়ের রকিব চৌধুরী, আক্তার হোসেন খান, আব্দুল হাদী পাবেল, শহিদ আহমদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ আব্দুস সালাম এবং সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের চার প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম, শান্ত দেব, মো. আব্দুস সামাদ, খলিলুর রহমান চৌধুরী বিজয়ী হতে পারেননি।
এসোসিয়েট ক্যাটাগরিতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের পূর্ণ প্যানেল বিজয়ী হয়েছে। বিজয়ীরা হলেন মো. এমদাদ হোসেন (৭৭৯ ভোট), মাসুদ আহমদ চৌধুরী মাকুম (৭২৯), মো. আতিক হোসেন (৬২২), চন্দন সাহা (৬১৬) পিন্টু চক্রবর্তী (৫৭৫) ও আব্দুর রহমান (৫৪৭)।
এই ক্যাটাগরিতে বিজয়ী প্রার্থীদের মধ্যে অন্যরা হলেন, ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, কাজি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আবুল কালাম ও মনোরঞ্জন চক্রবর্তী সবুজ।
ট্রেড গ্রুপ শ্রেণীতে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ৩ জন প্রার্থীই বিজয়ী হয়েছেন। তারা হলেন- সারেগ গ্রুপ থেকে তাহমিন আহমদ, সিএন্ডএফ এজেন্ট থেকে ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী ও ভোগ্যপণ্য পরিবেশক গ্রুপ থেকে আমিনুজ্জামান জুয়াহির ৬ ভোট করে পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
এই গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ছিলেন- মো. সিরাজুল ইসলাম, মো. মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মসফিক), মো. নুরুল ইসলাম।
এছাড়া টাউন এসোসিয়েশন শ্রেণীতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আগেই নির্বাচিত হয়েছেন শমশের জামাল। নির্বাচনী বোর্ড তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় বিজয়ী ঘোষণা করে।
নির্বাচনী বোর্ড সূত্র জানায়, দিনভর ১৩টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হয়। বুথ প্রতি একজন করে ১৩ জন ও অতিরিক্তে একজন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। সহকারী প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসার ১৬ জন ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে অর্ডিনারি ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৪১৩ জন, অ্যাসোসিয়েট ১ হাজার ৪০ জন, ট্রেড গ্রুপ ১১ এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন ১ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এনইউ/এমএমইউ