সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ইদ্রিস জোমাদ্দার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ইদ্রিস জোমাদ্দার উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের আশ্রাফ আলীর ছেলে।
মৃত শিশু ফয়সাল একই এলাকার বাদল জোমাদ্দারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর সকালে ফয়সালের মা টাকা তোলার জন্য মঠবাড়িয়া শহরে উত্তরা ব্যাংকে যান। দুপুরে ফয়সাল স্কুল থেকে ফিরে বাড়ির মসজিদের সামনে খেলা করছিল। তখন ইদ্রিস জোমাদ্দার শিশু ফয়সালকে ডেকে স্থানীয় একটি বাগানে নিয়ে যান। এরপর থেকে ফয়সাল নিখোঁজ হয়। ফয়সালের মা ব্যাংক থেকে ফিরে ছেলেকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। তাকে না পেয়ে পরে পরিবারের লোকজন থানায় জিডি করেন।
৯ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের একটি বাগানের মধ্যে ফয়সালের মরদেহ দেখতে পায় এক প্রতিবেশি। এ ঘটনায় মা আসমা বেগম বাদী হয়ে ইদ্রিসকে সন্দেহভাজন আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর সিআইডির ইন্সপেক্টর ইউনুছ আলী অভিযুক্ত ইদ্রিসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি খান মো. আলাউদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এনটি