সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ডাকাতির মামলায় তাদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে রোবরার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার ইলমদী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার নারান্দী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে বিল্লাল (৪০), নয়াপাড়া গ্রামের ফারুক মেম্বারের ছেলে আহাদ আলী (৪৫), ইলমদী গ্রামের সোবহানের ছেলে সুমন (২২), নারান্দী খালপার গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে আমিনুল (১৯), ইলমদী গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে ইসমাইল (১৯), ইলমদী গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে দেলোয়ার (৩৮) ও নারান্দী গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইব্রাহীম (১৪)।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিনগত রাতে ইলমদীর বেনজীর আহাম্মদের বাগ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের একাধিক টিম ওই সাত ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে রামদা, দু’টি বড় ছোড়া, ছেনা, লোহার পাইপ, তিনটি ক্রিকেটের স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও কাঠের ব্যাট জব্দ করা হয়।
তিনি আরও জানান, ডাকাতদল আড়াইহাজার-উচিৎপুরা সড়কে রাতে হেঁটে যাওয়া পথচারী ও সব প্রকার যানবাহন আটকিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ডাকাতি করে আসছিল। রাস্তায় ডাকাতিকালে তাদের সিগন্যাল দাতা হিসেরে কাজ করতেন ডাকাত দেলোয়ার।
জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার বলেন, যখন রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন আসতো তখন তিনি বাঁশিতে একবার ফুঁক দিলে রিকশা বা অটোরিকশা, দু’বার ফুঁক দিলে প্রাইভেটকার, তিনবার ফুঁক দিলে ডাকাতরা বুঝবে পুলিশের গাড়ি আসছে।
ডাকাত ইব্রাহীম অস্ত্র যোগান দিয়ে ডাকাতদের সাহায্য করতো বলে পুলিশ জানায়। এক মাস আগে ডাকাত আহাদী দীর্ঘ ২২ বছর ডাকাতি মামলায় জেল খেটে মুক্ত হয়ে পুনরায় ডাকাতের বড় চক্র গড়ে তোলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও পালিয়ে যাওয়া ১১ ডাকাতের নাম পুলিশের কাছে প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
আরবি/