সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার উত্তর চেলোপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম উত্তর চেলোপাড়ার জিলহক ইসলামের ছেলে।
শিশুটির মা বাংলানিউজকে জানান, প্রায় তিনমাস আগে অভিযুক্ত শহিদুলের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তার আগের সংসারের পাঁচ বছরের মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে শহিদুলের সঙ্গে উত্তর চেলোপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শিশুটিকে বাড়িতে রেখে তিনি বাবার বাড়িতে যান। এ সুযোগে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে দ্বিতীয় স্বামী শহিদুল।
তিনি আরও বলেন, বাবার বাড়ি থেকে ফিরে মেয়েকে কাঁন্নাকাটি করতে দেখে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটি ধর্ষিত হয়েছে বলে জানতে পারেন। একপর্যায়ে শিশুটি কাছ বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সে তার সৎ বাবার কথা জানায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা বাংলানিউজকে জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শিশুটির মা তার দ্বিতীয় স্বামী শহিদুলের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে উত্তর চেলোপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত শহিদুলকে আটক করা হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সনাতন চক্রবর্তী জানান, আটক শহিদুল ইসলাম প্রাাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
কেইউএ/ওএইচ/