সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কাহালু থানাপুলিশ এ ঘটনা নিশ্চিত করে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বরিশালের মুলাদী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিস্তির টাকা আদায় শেষে সদর এনজিও অফিসে ফেরার সময় মোটরসাইকেলসহ নিখোঁজ হন শাহরিয়ার। সে সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় সন্ধ্যায় তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে থেকে কাহালু থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দামাই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মাথা ও মুখ থেতলানো অবস্থায় নিখোঁজ শাহরিয়ারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় রাতেই শাহরিয়ারের স্ত্রী চায়না বেগম বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- প্রধান আসামি রাজু আহম্মেদ (২৫), রাজুর বাবা আমজাদ হোসেন ওসমান (৫২), মা মর্জিনা বেগম (৪৫) ও রাজুর স্ত্রী নাজমা বেগম (২৩)। তাদের সবার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া বানদীঘি গ্রামে।
বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (নন্দীগ্রাম সার্কেল) আহম্মেদ রাজিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এটি একটি পূর্ব-পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে বরিশালের মুলাদী এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ী থেকে আসামিদের আটক করে।
এ ব্যাপারে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। এনজিওর কিস্তির টাকা হাতিয়ে নিতেই শাহারিয়ারকে খুন করেন তারা। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। মামলার অপর আসামিকে আটকে অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
কেইউএ/এইচজে