সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) এবং কমিটির আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান জানান, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর তারা জনপ্রশাসন সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
গত মাসে ফেসবুকে আপলোড করা একটি ভিডিওতে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের খাস কামরায় যে নারীকে দেখা যায়, তিনি ওই অফিসের পিয়ন বলে স্থানীয়রা শনাক্ত করেছে।
ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপাক সমালোচনা সৃষ্টির পর জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়।
তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছে।
গত ২৫ আগস্ট পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ১০ দিন করে দুই দফায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
‘কমিটিকে প্রকাশিত ভিডিওটির সঠিকতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন করবে এবং ভিডিওটির সঠিকতা যাচাইয়ে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে। একইসঙ্গে কমিটিকে প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট মতামতা দিতে হবে। ’- এমন নির্দেশনা ছিল মন্ত্রিপরিষদ থেকে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন। সদস্যরা কেউই উপসচিব পদমর্যাদার নিচে হতে পারবেন না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তবে ওই প্রতিবেদনে কী উঠে এসেছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ