রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের-১ বিচারক মনিরুজ্জামান এ জবানবন্দি গ্রহন করেন।
এর আগে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে মহানগরীর লবনচলা এলাকা থেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সুমন মোল্লাকে গ্রেফতার করে খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
খুলনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে জেলা ডিবি ছায়া তদন্ত শুরু করে। হত্যার পর পূর্ব রূপসা থেকে ৬ জন নৌকায় রূপসা নদী পার হয়ে খুলনা শহরে আসে। পরে যশোরে পালিয়ে যায়। এরপর মামলার এজাহারে সুমনের নাম না থাকায় সে আবার খুলনায় ফিরে আসে। এরপর আমরা সুমনকে গ্রেফতার করি। রোববার বিকেলে সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার বিষয়ে এ টু জেড বর্ণনা করেছেন। ’
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে ব্রাইট সি ফুডসের সামনে সংগ্রামকে গুপ্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন জানান, শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাগমারা গ্রাম থেকে আদম শেখ ও কহিনুর বেগম নামের দুই জনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়ায় নথিও তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওসি জানান, ঘটনার দিন রাতে নিহতের মা লিলি বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২১, তাং-২৬/০৯/১৯। ধারা ৩০২/৩৪।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এমআরএম/ওএফবি