এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া শরিফ উদ্দিন (৬০) নামে এক কবিরাজকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুন নূর এ আদেশ দেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণী তার মা-বাবার সঙ্গে গাজীপুরে থাকেন। তাদের পরিবারের সবাই পোশাক শ্রমিকের কাজ করে আসছিলেন। তরুণী দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পরে এক নারী তার চিকিৎসার জন্য শরিফ উদ্দিন কবিরাজের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তার কথা মতো তরুণীকে তার মা-বাবা ১৫/২০ দিন আগে কবিরাজের কাছে নিয়ে যান এবং তার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে দুটি তাবিজ নিয়ে যান।
কিন্তু তাবিজে তরুণী সুস্থ না হওয়ায় তাকে পুনরায় শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কবিরাজের বাড়ি নিয়ে যান তার মা। তখন কবিরাজ জিনের আছর পড়েছে বলে তরুণীর মাকে জানান। পরে তরুণীর মাকে বসিয়ে রেখে তরুণীকে আরেকটি ঘরে নিয়ে কবিরাজ ধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তরুণীর মা বাদী হয়ে কবিরাজ শরিফ উদ্দিনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই কবিরাজকে গ্রেপ্তার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এনআইকে/ওএফবি