এসময় কর্মরত শ্রমিকসহ আতঙ্কিত শত শত মানুষ দিগ্বিদিক ছুঁটতে থাকেন। এসময় যানবাহনের হর্ণ ও মানুষের চিৎকারে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশান কোম্পানি (ওজোপাডিকো) থেকে খুঁটির বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা জানান, জলাবদ্ধতা দূর করতে কেসিসি নগরজুড়ে ড্রেন প্রশস্তকরণের কাজ করছে। মেশিন দিয়ে ড্রেন কাটতে গিয়ে অনেক মানুষের বাড়ির সীমানা ওয়াল হেলে ও ধসে পড়ছে। বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি রাস্তায় আছড়ে পড়ছে। অনেক ভবন এখন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা পারে।
কামরুল ইসলাম মনি নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ড্রেন প্রশস্তকরণের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা বিদ্যুতের খুঁটির পাশে খনন করায় সেগুলো ধসে পড়ে।
কেউ কেউ বলছেন, ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় শ্রমিকরা খামখেয়ালি হয়ে কাজ করছেন। যার কারণে বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটিসহ মানুষের বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়ছে।
ওজোপাডিকোর ডিভিশন-৪ এর এক্সেন ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কেসিসির ঠিকাদার মেশিন দিয়ে ড্রেন প্রশস্ত করতে গিয়ে খুঁটির পাশের মাটি বেশি সরিয়ে ফেলেছে। আমরা খুঁটি সংলগ্ন ২ থেকে ৩ ফিট মাটি সরাতে নিষেধ করার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্ত তারা তোয়াক্কা করেনি। যে কারণে ১১ হাজার ভোল্টের ৫টি খুঁটি হেলে পড়েছে। খুঁটি হেলে পড়ার পরপর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে খুঁটি অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
খুলনা সিটি করেপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বাংলানিউজকে বলেন, কেডিএ এভিনিউ সড়কে বিদ্যুতের হেলে পড়া খুঁটি দ্রুত অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। জলাবদ্ধতা দূর করতে কেসিসি ড্রেন প্রশস্তকরণের কাজ যে ঠিকাদার করছে তাকে বলে দেওয়া হয়েছে যেন বিদ্যুতের খুঁটিসহ কারও কোনো ক্ষতি না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এমআরএম/এইচএডি