ঢাকা, শুক্রবার, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বশেমুরবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের খবরে শিক্ষার্থীদের উল্লাস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৯
বশেমুরবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের খবরে শিক্ষার্থীদের উল্লাস ভিসির পদত্যাগে উল্লাসে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: বাংলানিউজ

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি)  ভিসি প্রফেসর ড. নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের খবরে ক্যাম্পাসে আনন্দ উল্লাস করেছেন শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে ক্যাম্পাসে ভিসির পদত্যাগের গুঞ্জন ভাসতে থাকে। সন্ধ্যায় ভিসির পদত্যাগের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জয় বাংলা চত্বরে সমবেত হয়।

বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে জয় বাংলা চত্বরে জমা হয়। পরে সেখানে সবাই মিলে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন। মেতেছেন রং খেলায়। যে যার মতো করে আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করছেন।

১৯ সেপ্টেম্বর থেকে দীর্ঘ ১২ দিন একটানা ভিসি প্রফেসর ড. নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। তারা (শিক্ষার্থীরা) ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগ এনে লাগাতার কর্মসূচি পালন করেন।  

তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, ঝাড়ু মিছিল, মশাল মিছিল, মোমবাতি মিছিল, প্রেস ব্রিফিং, ভিসির দুর্নীতির পোস্টার প্রদর্শনী, ভিসির ব্যাঙ্গাত্মক চিত্র প্রদর্শনীসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।

ভিসির পদত্যাগে উল্লাসে মেতেছেন শিক্ষার্থীরা।  ছবি: বাংলানিউজএসব কর্মসূচির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিরাসনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ৫ সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়। প্রফেসর ড. মো. আলমগীরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত টিম ২৫ ও ২৬ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তারা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে গ্রহণ করেন। গতকাল রোববার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনকে অপসারণের সুপারিশ করা হয়। এ ঘটনার পর গতকাল রোববার রাতেই ভিসি পুলিশ পাহারায় তার বাংলো ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন। তখন থেকেই গুঞ্জন ছিলে সোমবার যেকোনো সময় তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
 
গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিনিয়ার বহিষ্কার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।