জেলা সদরসহ ১০টি উপজেলার ৫০৯টি পূজামণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি শেষ। এবার শুধু মায়ের প্রার্থনা শুরুর অপেক্ষা।
‘চলো পূজা করি’ নির্বাহী কমিটির সভাপতি আইনজীবী মানবেন্দ্র বিশ্বাস উজ্জ্বল বাংলানিউজকে বলেন, নেত্রকোনার মানুষ ধর্মীয় দিক দিয়ে খুব শান্তিপ্রিয়। ভক্তদের ইচ্ছা আগ্রহ আর রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলার সু-ব্যবস্থা থাকায় মণ্ডপের সংখ্যা এখানে দিন দিন বাড়ছে। এখানে কোনো ধর্মীয় দাঙ্গা হাঙ্গামা নেই। সব ধর্মের মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক সবসময়।
আবু আব্বাস কলেজ শিক্ষার্থী প্রিয়া দাস বাংলানিউজকে বলেন, নেত্রকোনার মানুষ হিসেবে আমরা গর্ববোধ করি। আমাদের এখানে ধর্মীয় কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। প্রতিবছর আমরা নিজেদের ধর্মীয় উৎসবগুলো বেশ শান্তিপূর্ণ আর জাঁকজমকভাবে পালন করতে পারি। আশা করছি এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেত্রকোনা জেলা শাখার সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে বলেন, কোনো ধরনের প্রতিকূলতা ছাড়াই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী সবার মধ্যে উৎসব আনন্দ বিরাজ করছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বিক নজরদারি রয়েছে মণ্ডপগুলোতে। পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়েছে নিরাপত্তা স্বার্থে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর সদর উপজেলায় পূজা হচ্ছে ৬১টি। এরমধ্যে নেত্রকোনা পৌরসভা এলাকায় ৫৪টি। এছাড়া জেলার অন্য নয়টি উপজেলার মধ্যে বারহাট্টায় ৫১, দুর্গাপুরে ৬১, কলমাকান্দায় ৫৫, পূর্বধলায় ৫৭, আটপাড়ায় ৩৭, কেন্দুয়ায় ৪৯, মদনে ১৩, মোহনগঞ্জে ৩০ ও খালিয়াজুরীতে ৪১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুন্সি বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গাপূজাকে ঘিরে জেলায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। জেলাবাসীকে সুন্দর একটি উৎসব উপহার দিতে পূজার শেষদিন প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত নজরদারির এ ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এনটি