প্রত্যেকটা পূজামণ্ডপে টাঙানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। মঞ্চসজ্জাসহ আনুসঙ্গিক কাজও শেষ করেছে পূজা উদযাপন কমিটিগুলো।
সরজমিনে দেখা যায়, খাগড়াছড়ির জেলা শহরের শ্রী শ্রী গীতা আশ্রম, জগন্নাথ মন্দির, ভুবনেশ্বরী মন্দিরে চলছে পূজার জোর প্রস্তুতি। মন্দিরগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে জেলার সবচেয়ে বড় পূজা মণ্ডপ শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দির প্রাঙ্গনজুড়ে এবারও বসছে ঐতিহ্যবাহী মেলা। পূজার আনুসঙ্গিক কাজও ইতোমধ্যে শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশপাশি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী একই ধর্মে বিশ্বাসী হওয়ায় উৎসবে যোগ হয়েছে বাড়তি মাত্রা।
দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে শিশু-কিশোর কিশোরীরাও উল্লসিত। উৎসবের আমেজ ছোট-বড় সবার মধ্যে।
এ বছর খাগড়াছড়িতে মোট ৫৪টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে জেলা সদরে ১৯টি, মহালছড়িতে ২টি, পানছড়িতে ১০টি, দীঘিনালায় ৭টি, মাটিরাঙ্গায় ৬টি, গুইমারায় ৪টি, রামগড়ে ২টি এবং লক্ষীছড়িতে ১টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
খাগড়াছড়ি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুণ কুমার ভট্টাচার্যী বলেন, গত বছরগুলোর মতো এবারও আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা পালন করতে পারবো বলে আশা রাখছি।
এদিকে দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছে জেলা পুলিশ।
খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা পূজা মণ্ডপ কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করছি। যেন সুন্দর ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে পূজাকে ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এডি/এইচএডি