বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বকুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ আবাসিক হলের বি ব্লকের ১২০ নম্বর রুমে থাকতেন।
সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টার দিকে নিজ কক্ষে বকুল বমি করতে থাকলে তার রুমমেটরা তাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বকুলের রুমমেট নাবিল দেব নাথ বলেন, বুধবার (২ অক্টোবর) দিনগত রাতে আমরা প্রতিদিনের মতো খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ বকুল বমি করতে থাকেন। পরে তাকে দ্রুত সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, বকুল বেশ কিছুদিন ধরে আমাদের বলে আসছিল 'আমি (বকুল) আপনাদের মধ্যে আর বেশি দিন থাকবো না'। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কখনো কিছু শেয়ার করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে শাহপরাণ হলের এক শিক্ষার্থী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, তার রুমমেটের ‘ফুড পয়জনিং’ হয়েছে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থী ইঁদুর মারার বিষ খেয়েছে এটি কাউকে জানায়নি। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা লালা পরীক্ষা করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওকিল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
আরআইএস/