বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আনসার আলী কালিগঞ্জ উপজেলার চাচাই গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বাংলানিউজকে জানান, কালিগঞ্জ উপজেলার চাচাই গ্রামের আরশাদ আলীর বাড়িতে কাজ করতেন প্রতিবেশি রুহুল আমিন গাজীর স্ত্রী। ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল সকালে সেখানে কাজ করতে যায় আমিনের প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়ে। সেই সুযোগে আরশাদ আলীর ছেলে আনসার আলী (২৯) ওই কিশোরীকে ঘর ঝাড়ু দেওয়ার নামে ডেকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় রোজিনার ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট কালিগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নকীব আয়জুল হক।
এরপর ওই কিশোরী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। আদালতের নির্দেশে ওই শিশুর ডিএনএ টেস্ট করা হলে প্রমাণিত হয় সন্তানটি আনসার আলীর।
মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত আনসার আলীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার আনসারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ড দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এনটি