এই শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকার উত্তরার ১৩নং সেক্টরের গাউসুল আজম অ্যাভিনিউয়ের চাইনিজ নাগরিক কেন্টের মালিকানাধীন হবনব কফি হাউস ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এবং তার বাণিজ্যিক আবাসিক হোস্টেলে (সেক্টর-১৪, রোড-১৫, হাউস-৫৬ উত্তরা) ০২ (দুই) অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনোর বিখ্যাত ইলেকট্রিক গ্যাম্বলিং মেশিন উদ্ধার করা হয়।
আমদানি স্তরে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে ক্যাসিনো মেশিন দুটি খালাসে আনুমানিক দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
অভিযানটি পরিচালনা করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাউছার আলম পাটওয়ারী এবং কেফায়েতউল্লাহ মজুমদারের নেতৃত্বে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল।
আল মামুন বলেন, কেন্টের মালিকানাধীন উত্তরার চাইনিজ হোস্টেল এবং হবনব কফি হাউসে বিভিন্ন চাইনিজ নাগরিকের আনাগোনা। যারা গ্যাম্বলিংয়ে মত্ত থাকতেন। সাম্প্রতিক অভিযানের খবরে হবনব কফি হাউসে ব্যবহৃত ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিন দুটি আবাসিক হোস্টেলে লুকিয়ে রাখা ছিল।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আমদানিকারক নিনাদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চায়না থেকে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ২০টি কার্টনে সাত সেট ক্যাসিনো খেলার মাহাজং মেশিন আমদানি করে। আমদানিকারক সাতটি মাহাজং মেশিনের মূল্য ৪৭ হাজার ৮১৫ টাকা ঘোষণা দিয়ে পণ্যচালান খালাস করেছে। কিন্তু এ দপ্তরের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এ ধরনের প্রতিটি ইলেকট্রিক মেশিনের মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে সাতটি মেশিনের মূল্য আনুমানিক ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রায়। এ হিসাবে এসবের আমদানি শুল্কের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমদানিকারক মিথ্যা মূল্য ঘোষণা দিয়ে নয় লাখ ৯৬ হাজার ২৮৫ টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে।
১৯৪৫ সালে চায়নাতে কমিউনিষ্ট বিপ্লবের উত্থানকালে মাহাজং খেলায় গ্যাম্বলিং আসক্তির জন্য চায়নাতে এটাকে নিষিদ্ধ করা হয়। বর্তমানে ম্যাকাও ও হংকং এর ক্যাসিনোতে মাহাজং গ্যাম্বলিং হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০১৯
জিসিজি/টিএ