বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন তার শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সালাউদ্দিন খান।
নিহত আতিকুর রাজশাহীর রাজাপাড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের এনায়েতুর রহমানের ছেলে।
তার শ্বশুর বাংলানিউজকে বলেন, গুলশান-১ এ আতিকুরসহ চারজন একটি বায়িং হাউস ব্যবসা শুরু করেছিলেন। প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় পারফেক্ট সোসিং বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন আতিকুর। চেয়ারম্যান ছিলেন কামরুন নাহার নিপা নামে একজন। এছাড়া নিপার আরেক বোন রোমানা নিরা এবং আরেক ব্যক্তি এর পার্টনার ছিলেন।
তিনি বলেন, লাভজনক প্রতিষ্ঠানটিতে হঠাৎ অর্থ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। আতিকুর ছাড়া বাকি তিনজন কোম্পানির লাভের টাকা দিয়ে ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট কিনেন। ফ্ল্যাট কেনার প্রতিবাদ করেন আমার মেয়ের জামাই। একপর্যায়ে অপর তিন পার্টনার আতিকুরকে বলেন, তোমার যা পাওনা-দাওনা আছে, তুমি এগুলো নিয়ে কোম্পানি থেকে বেরিয়ে যাও। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
গতকাল সন্ধ্যায় উত্তর কাফরুলের বাসা থেকে আতিকুর বেরিয়ে যান কাজে। এরপরে আর তাকে মোবাইলে অনেক যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। দফায় দফায় তার মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে একপর্যায়ে একজন অপরিচিত লোক রিসিভ করে বলেন, এই ফোনের লোকটির ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। পরে বনানী এলাকায় গিয়ে আতিকুরের খণ্ডিত মরদেহ পাওয়া যায় বলে জানান সালাউদ্দিন খান।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ের জামাই ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাননি। ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবউল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (০২ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে- এই সময়ে বনানীর ডিওএইচএস সংলগ্ন রেললাইনে একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আতিকুরের মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির শ্বশুর বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে আসামিদের ধরার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৯
এজেডএস/টিএ