বৃহস্পতিববার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ব্যাটারিচালিত রিকশাশ্রমিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা ও বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অনশনে শ্রমিকদের অনড় অবস্থানের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
‘সন্ধ্যায় তারা অনশনস্থল নগরের অশ্বিনী কুমার হলে এসে এ বিষয়গুলো জানালে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এ সময় প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের জুস খাইয়ে অনশন ভাঙান। ’
এ বিষয়ে বরিশাল মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম বলেন, আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্তে হলুদ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা অবৈধ। এর মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশার কোনো অনুমোদন না থাকায় তা আমরা পুরো শহর থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছি। তবে যেহেতু হলুদ অটোরিকশার লাইসেন্স সিটি করপোরেশন দিয়েছিল এবং এর সঙ্গে বহু লোক জড়িত রয়েছে, তাই সেগুলো একাবারে উচ্ছেদ না করে যানজট নিরসরনের লক্ষ্যে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘প্রতিনিধি দল পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে ব্যাটারিচালিত রিকশার সঙ্গেও অনেকে জড়িত থাকার বিষয়টি জানিয়েছেন। তাই তিনি এগুলো একবারে মহানগর এলাকায় চলাচল বন্ধ না করার জন্য বলেছেন। ’
তিনি বলেন, ব্যাটারি চালিত রিকশাগুলো নির্ধারিত সড়কে এমনভাবে চালাতে বলা হয়েছে যেন জানজট সৃষ্টি না হয়। আর অভিযানে জব্দ রিকশার ব্যাটারিগুলো আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের সেখান থেকে নিয়মানুযায়ী সেগুলো ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে বরিশাল নগর এলাকায় অবৈধ যানবাহন চালাতে দেওয়া হবে না জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ব্যাটারিচালিত এসব রিকশার শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার (০২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আমরণ শুরু করেন অটোরিকশা শ্রমিকেরা। তাদের দাবি, বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া বরিশাল নগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালার ভিত্তিতে রিকশা চলতে দেওয়া এবং জব্দ হওয়া ব্যাটারি ও মোটর ফিরিয়ে দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এমএস/এমএ