জানা যায়, গত কয়েকদিন পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে শিবচরের পদ্মাবেষ্টিত কাঁঠালবাড়ী, চরজানাজাত, মাদবেররচর, বন্দোরখোলা ইউনিয়নের কমপক্ষে ৫০টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার ফসলি জমি, সব্জিক্ষেত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহ ধরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে পদ্মায়। ফলে পদ্মার চরাঞ্চল কাঁঠালবাড়ী, চরজানাজাত ও বন্দোরখোলা ইউনিয়নের চরের গ্রামগুলো তলিয়ে গেছে পানিতে। বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাওয়া। কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের মাগুরখণ্ড, কাওলীপাড়া গ্রাম, চরজানাজাত ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষেরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এদিকে, বন্দোরখোলা ইউনিয়নের কাজিরসুরাসহ চরের সবকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের সড়কও।
কাঁঠালবাড়ী এলাকার আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, দ্বিতীয় দফার বন্যায় এসব এলাকার মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাড়ির নলকূপ ডুবে যাওয়ায় পুরো চরের মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংকটে ভুগছে। যাদের বাড়িঘর বেশি তলিয়ে গেছে তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
আব্দুস সালাম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, পানিতে আমাদের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। চরের রাস্তাঘাট, বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব পানিবন্দি। গরু-ছাগল নিয়ে আমরা বিপাকে রয়েছি।
বন্দোখোলা ইউনিয়নের কাজিরসূরা এলাকার একাধিক বাসিন্দা বাংলানিউজকে জানায়, কাজিরসূরা থেকে উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি এখন পানির নিচে। চাইলেও সহজে স্থলভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। গ্রামের রাস্তাঘাট, বাজার, ঘরবাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ সব স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির কারণে সাপের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বন্যায় শিবচরের চরাঞ্চলের গ্রামগুলো পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। সার্বক্ষণিক দুর্গত এলাকার মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯
এনটি