শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরের এনসিবি শাখার উদ্যোগে ও এনসিবি (ইন্টারপোল) দুবাইয়ের সহযোগিতায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে জিসানকে দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, দুবাই কর্তৃপক্ষ জিসানকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছিল। সেখানে তার নাম আছে আলী আকবর চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষিত দেশের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর একজন জিসান। তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। রাজধানীর গুলশান, বনানী, বাড্ডা, মতিঝিলসহ বেশ কিছু অঞ্চলে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির একাধিক মামলা ছিল তার নামে।
ইন্টারপোল তার নামে রেড অ্যালার্ট জারি করে রেখেছে। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জিসান সম্পর্কে হত্যাকাণ্ড এবং বিস্ফোরক বহনের অভিযোগ আছে।
২০০৩ সালের ১৪ মে ঢাকার মালিবাগে জিসানকে গ্রেপ্তার অভিযানে তারই সহকর্মীদের বার্স্টফায়ারে নিহত হন ডিবি পুলিশের দুই কর্মকর্তা। ওই হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালে ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান নিহত হলে জিসান ভারতে পালিয়ে যান। সেখান থেকে পরে তিনি দুবাইয়ে পাড়ি জমান।
সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আটকের পর জিসানের নাম আবার নতুন করে আলোচনায় আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯/আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা
পিএম/জেডএস